টাইমফুল
120.00৳
টাইমফুল, বৈজ্ঞানিক নাম Thyme, একটি সুগন্ধী ও স্বাস্থ্যকর গাছ। এটি মূলত রান্নায় ব্যবহৃত হয়, তবে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণের জন্যও পরিচিত। টাইমফুল সর্দি-কাশি, বদহজম, এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গাছটি সহজে গৃহস্থালিতে চাষ করা যায় এবং এর পাতা তাজা ও শুকনো অবস্থায় রান্নায় ব্যবহৃত হয়।এই গাছের সাথে থাকছে ।
- উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি।
- একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব।
টাইমফুল, বৈজ্ঞানিক নাম Thyme, একটি সুগন্ধী ও স্বাস্থ্যকর গাছ। এটি মূলত রান্নায় ব্যবহৃত হয়, তবে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণের জন্যও পরিচিত। টাইমফুল সর্দি-কাশি, বদহজম, এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গাছটি সহজে গৃহস্থালিতে চাষ করা যায় এবং এর পাতা তাজা ও শুকনো অবস্থায় রান্নায় ব্যবহৃত হয়।এই গাছের সাথে থাকছে ।
- উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি।
- একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব।
টাইমফুল: সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যকর গুণ
পরিচিতি
টাইমফুল (Time Flower) বা টাইম গাছ, বৈজ্ঞানিক নাম Thyme। এটি একটি জনপ্রিয় গন্ধযুক্ত উদ্ভিদ যা অনেক দেশে রান্নার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। টাইমফুল শুধুমাত্র রান্নায় নয়, বরং বিভিন্ন প্রয়োজনে স্বাস্থ্যগত গুণাবলী এবং সুগন্ধের জন্যও পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য
টাইমফুল একটি ছোট গাছ, যার উচ্চতা সাধারণত 15 থেকে 30 সেন্টিমিটার। এর পাতাগুলি ছোট এবং তীক্ষ্ণ, গাছের ওপরের দিকে ঘন ভাবে সাজানো থাকে। ফুলগুলি সাদা, গোলাপি বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে, যা গ্রীষ্মের সময় ফোটে।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ
- টাইমফুলে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের কোষকে মুক্ত র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
২. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ
- টাইমফুলের প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এটি অনেক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে নষ্ট করতে সক্ষম।
৩. পাচনতন্ত্রের উন্নতি
- টাইমফুল চা বা পাতা খাওয়া পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি পাচন প্রক্রিয়া উন্নত করে, বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।
৪. সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি
- টাইমফুলের চা সর্দি ও কাশির লক্ষণগুলি কমাতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
- টাইমফুলের ব্যবহারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা বিভিন্ন সংক্রমণ ও অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়।
৬. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
- টাইমফুলের গন্ধ মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়ক। এটি মনকে শান্ত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
৭. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
- টাইমফুল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৮. প্রদাহ কমানো
- টাইমফুলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা বিভিন্ন ধরনের ব্যথা এবং অসুবিধার জন্য উপকারী।
রান্নায় ব্যবহার
টাইমফুলের গন্ধ ও স্বাদ রান্নায় একটি বিশেষতা যোগ করে। এটি মাংস, স্যুপ, সালাদ এবং নানা ধরণের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, ইটালিয়ান ও ফরাসি রান্নায় এর ব্যবহার প্রচুর।
গাছের যত্ন
টাইমফুল গাছ রোদ পছন্দ করে এবং ভালো নিষ্কাশনযুক্ত মাটি প্রয়োজন। এর জন্য খুব বেশি জল দেওয়া উচিত নয়, কারণ এটি জলাবদ্ধতায় ভালো থাকে না। গাছটিকে নিয়মিত ছাঁটাই করলে এটি স্বাস্থ্যকর ও ঘন হবে।
১. সূর্যালোক
- টাইমফুল গাছ রোদ পছন্দ করে, তাই এটি এমন স্থানে রোপণ করুন যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। দিনে কমপক্ষে 6-8 ঘণ্টা রোদ পেলে এটি ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
২. মাটি
- টাইমফুলের জন্য ভালো নিষ্কাশনযুক্ত মাটি প্রয়োজন। স্যান্ডি ও লো-মাটি মিশ্রণ এটি জন্য আদর্শ। মাটির pH 6.0 থেকে 8.0 এর মধ্যে হওয়া উচিত।
৩. জল দেওয়া
- টাইমফুল গাছ জলাবদ্ধতা পছন্দ করে না। তাই, জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটি অতিরিক্ত ভিজে না যায়। সাধারণত, মাটি শুকিয়ে গেলে জল দেওয়া উচিত।
৪. সার প্রয়োগ
- সময়ে সময়ে কম্পোস্ট বা একটি সামান্য পরিমাণ উর্বরা সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয়। তবে, খুব বেশি সার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
৫. ছাঁটাই
- গাছের বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ছাঁটাই করা জরুরি। প্রয়োজনমতো পাতা ও ডাল ছেঁটে ফেলে গাছকে স্বাস্থ্যকর এবং ঘন রাখতে সাহায্য করুন।
৬. রোগ ও পোকামাকড়
- টাইমফুল গাছ সাধারণত রোগ ও পোকামাকড়ের প্রতি প্রতিরোধী, তবে কখনো কখনো মিলিবাগ বা থ্রিপসের আক্রমণ হতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন।
৭. সংগ্রহ
- গাছ ফুল ফোটার আগে বা পরে পাতা সংগ্রহ করা যায়। পাতা শুকিয়ে রেখে বা তাজা ব্যবহার করে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করুন।
2025