বেলি
250.00৳
সৌন্দর্য ও সুবাসের মিশ্রণ, যা আপনার বাগানকে এনে দেবে অনন্য ঔজ্জ্বল্য। বেলী ফুল তার মিষ্টি সুবাস এবং সাদা পাপড়ির সৌন্দর্য দিয়ে মনোমুগ্ধ করে। এটি বাগান, বারান্দা, বা বাড়ির যে কোনো কোণকে সজীব করতে অসাধারণ একটি পছন্দ।এই গাছের সাথে থাকছে ।
- উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি।
- একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব।
সহজেই আপনার ঘরকে সবুজে সাজিয়ে তুলুন!
সৌন্দর্য ও সুবাসের মিশ্রণ, যা আপনার বাগানকে এনে দেবে অনন্য ঔজ্জ্বল্য। বেলী ফুল তার মিষ্টি সুবাস এবং সাদা পাপড়ির সৌন্দর্য দিয়ে মনোমুগ্ধ করে। এটি বাগান, বারান্দা, বা বাড়ির যে কোনো কোণকে সজীব করতে অসাধারণ একটি পছন্দ।এই গাছের সাথে থাকছে ।
- উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি।
- একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব।
সহজেই আপনার ঘরকে সবুজে সাজিয়ে তুলুন!
বেলী ফুল (বোটানিক্যাল নাম: Jasminum sambac) বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফুলগুলোর মধ্যে একটি। এর মনোমুগ্ধকর সুবাস এবং সাদা, মোলায়েম পাপড়ির কারণে বেলী ফুল সহজেই মানুষের মন কেড়ে নেয়। এই ফুলটি শুধু যে বাগানের শোভা বৃদ্ধি করে তাই নয়, এটি বিয়ে বা অন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে গহনা ও সজ্জার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বেলী ফুলের পরিচিতি:
বেলী ফুলের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সাদা রঙের ফুল এবং মিষ্টি সুবাস এটিকে এক অসাধারণ ফুল হিসেবে পরিচিত করেছে। এটি মূলত গ্রীষ্মকালীন ফুল, তবে সঠিক যত্ন নিলে বছরের অন্য সময়েও এটি ফুল দিতে পারে।
বেলী ফুলের গুণাবলী:
- সৌন্দর্য ও সুবাস: বেলী ফুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তার মিষ্টি সুবাস, যা সন্ধ্যায় পরিবেশকে আরও মধুর করে তোলে।
- ঔষধি গুণ: বেলী ফুলের নির্যাস বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধে ব্যবহার করা হয়। এটি শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এবং অবসাদ দূর করতে সহায়ক।
- ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ব্যবহার: বেলী ফুল বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং পূজায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিয়ে ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে বেলী ফুলের মালা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বেলী ফুলের চাষ পদ্ধতি:
মাটি:
বেলী ফুল চাষের জন্য সঠিকভাবে নিষ্কাশিত উর্বর মাটি প্রয়োজন। মাটি যেন খুব ভারী বা অতিরিক্ত আর্দ্র না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মাটির পিএইচ মান ৬-৭ হলে ভালো হয়। সাধারণত মাটির সাথে জৈব সার মিশিয়ে বেলী ফুলের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়।
রোদ ও তাপমাত্রা:
বেলী ফুল পর্যাপ্ত সূর্যালোক পছন্দ করে, তাই এটি এমন স্থানে লাগানো উচিত যেখানে সারাদিন সূর্যের আলো পৌঁছায়। বেলী গাছের জন্য গ্রীষ্মকালের উষ্ণ তাপমাত্রা বেশি উপযোগী। তবে ঠান্ডা বা শীতল পরিবেশে গাছের বৃদ্ধি কম হতে পারে।
পানি সেচ:
বেলী ফুল গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও ফুল ফোটানোর জন্য নিয়মিত পানি দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেশি পানি দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি যেন শিকড়ে জমে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে, কারণ এতে শিকড় পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সার প্রয়োগ:
বেলী ফুলের জন্য জৈব সার সবচেয়ে উপযোগী। প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে, যাতে গাছের শিকড় শক্তিশালী হয় এবং ফুল ফোটার হার বৃদ্ধি পায়।
কাটা-ছাঁটা:
বেলী ফুলের গাছ নিয়মিত ছাঁটাই করা প্রয়োজন, বিশেষত ফুল ঝরে যাওয়ার পর। এতে গাছের নতুন শাখা গজাবে এবং আরও ফুল ফুটবে।
বেলী ফুলের যত্ন
বেলী ফুলের মনোরম সৌন্দর্য ও মিষ্টি সুবাস সবার মন কেড়ে নেয়। তবে এই ফুল গাছটি সুস্থ ও সতেজ রাখতে কিছু যত্নের প্রয়োজন। এখানে বেলী ফুল গাছের সঠিক যত্নের কিছু টিপস দেওয়া হলো:
১. পর্যাপ্ত সূর্যালোক:
বেলী ফুল গাছ সরাসরি সূর্যের আলো পছন্দ করে। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক নিশ্চিত করতে হবে। এটি বাগানের খোলা জায়গায় বা বারান্দায় রাখতে পারেন, যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পৌঁছায়।
২. নিয়মিত পানি সেচ:
বেলী ফুলের মাটি সবসময় আর্দ্র রাখা প্রয়োজন, তবে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না। পানি দেওয়ার সময় মাটি পরীক্ষা করতে হবে। গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণে পানি দেওয়া উচিত, তবে শীতে কমিয়ে দিতে হবে।
৩. সঠিক মাটি:
বেলী ফুলের জন্য ভালো নিষ্কাশনযুক্ত উর্বর মাটি প্রয়োজন। মাটির মধ্যে জৈব সার মেশালে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। মাটির পিএইচ ৬-৭ হলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৪. সার প্রয়োগ:
বেলী ফুলের গাছকে প্রতি ৩-৪ মাস পর পর জৈব সার দিতে হবে। সার দেওয়া ফুলের সংখ্যা বাড়ায় এবং গাছের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
৫. ছাঁটাই:
ফুল ঝরে যাওয়ার পর গাছের ডালপালা ছেঁটে দিন। এটি নতুন শাখা গজানোর জন্য সহায়ক হবে এবং গাছকে সুস্থ রাখবে। এছাড়া মরা বা শুকনো ডাল সরিয়ে ফেলতে হবে।
৬. কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ:
বেলী ফুলের গাছে মাঝে মাঝে পোকার আক্রমণ হতে পারে। নিয়মিত গাছের পাতা ও ডাল পরীক্ষা করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। জৈব কীটনাশক ব্যবহার করাই উত্তম।
৭. শীতের সময় যত্ন:
শীতকালে বেলী গাছের বাড়তি যত্ন দরকার। খুব বেশি ঠান্ডায় বেলী ফুলের গাছ ঢেকে রাখতে পারেন বা ঘরের ভেতরে স্থানান্তর করতে পারেন।
৮. ফুল ঝরে গেলে:
ফুল ঝরে যাওয়ার পর গাছকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে এবং এ সময় কম পানি দিতে হবে। এর ফলে গাছ পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে নতুন ফুল দিতে সক্ষম হয়।
বেলী ফুলের উপকারিতা:
১. অন্দরসজ্জায় ব্যবহার: বেলী ফুল ঘরের ভিতরে ও বাইরে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মিষ্টি সুবাস ঘরের পরিবেশকে আরও প্রফুল্ল করে তোলে।
২. অ্যারোমাথেরাপি: বেলী ফুলের সুবাস উদ্বেগ কমাতে এবং মনকে প্রশান্ত করতে সহায়ক।
৩. ঔষধি ব্যবহার: প্রাচীনকাল থেকেই বেলী ফুল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মাথাব্যথা এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক।
বেলী ফুলের গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করলে এটি সারা বছরই ফুল দিয়ে আপনাকে আনন্দিত করবে। সঠিকভাবে যত্ন নিলে, বেলী ফুলের গাছ দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং প্রতি বছর অসংখ্য ফুল ফুটবে।
2025