টগর

150.00৳ 

টগর ফুল গাছ একটি জনপ্রিয় চিরসবুজ গাছ, যা সুগন্ধি সাদা ফুল ফোটায়। এই গাছটি আপনার বাগান বা বাড়ির আশেপাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ। টগর ফুলের পাপড়িগুলি সর্পিল আকারে বিন্যস্ত থাকে এবং এর মিষ্টি সুগন্ধি বাতাসকে সজীব করে তোলে।এই গাছের সাথে থাকছে

  • উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি
  • একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব

সহজেই আপনার ঘরকে সবুজে সাজিয়ে তুলুন!

টগর ফুল গাছ একটি জনপ্রিয় চিরসবুজ গাছ, যা সুগন্ধি সাদা ফুল ফোটায়। এই গাছটি আপনার বাগান বা বাড়ির আশেপাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ। টগর ফুলের পাপড়িগুলি সর্পিল আকারে বিন্যস্ত থাকে এবং এর মিষ্টি সুগন্ধি বাতাসকে সজীব করে তোলে।এই গাছের সাথে থাকছে

  • উন্নত মানের রেডি-মিক্স মাটি
  • একটি আকর্ষণীয় ৮ ইঞ্চি টব

সহজেই আপনার ঘরকে সবুজে সাজিয়ে তুলুন!

Learn more about This Product

টগর ফুল (Tabernaemontana divaricata), যাকে ইংরেজিতে Crape Jasmine বলা হয়, এটি একটি সুগন্ধি সাদা ফুল যা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় খুবই পরিচিত। এটি একটি বহুবর্ষজীবী চিরসবুজ গাছ, যা বাগান এবং বাড়ির আশেপাশে সজ্জার জন্য ব্যবহৃত হয়।

টগর ফুলের বৈশিষ্ট্য:

  1. ফুলের রং ও আকৃতি: টগর ফুল সাদা রঙের হয় এবং এর পাপড়িগুলো সর্পিল আকারে বিন্যস্ত থাকে। এই পাপড়ির বিন্যাস ফুলটিকে অনন্য করে তোলে। ফুলগুলো সাধারণত ২-৩ সেন্টিমিটার আকারের হয়।
  2. গাছের আকার: টগর গাছ সাধারণত ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। এটি ছোট আকারের হলেও বেশ ছড়িয়ে যায়, যা বাগানকে ভরাট ও সুশোভিত করে তোলে।
  3. পাতা: গাছের পাতা ডিম্বাকৃতি এবং সবুজ রঙের হয়। পাতাগুলো ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং খুবই চকচকে।
  4. সুগন্ধ: টগর ফুলের মৃদু কিন্তু মনমুগ্ধকর একটি সুগন্ধ রয়েছে, যা গাছটিকে বাড়ির আশপাশে রোপণ করার জন্য আদর্শ করে তোলে।
  5. ফুল ধরার ঋতু: এই গাছ সারা বছর ধরে ফুল ফোটায়, তবে বর্ষাকালে এর ফুল ফোটার হার সবচেয়ে বেশি।
  6. পরিবেশগত সুবিধা: টগর ফুলের গাছ বাতাস পরিশোধনে সহায়ক এবং প্রজাপতি ও অন্যান্য পোকামাকড় আকর্ষণ করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
  7. ঔষধি গুণ: টগর গাছ আয়ুর্বেদিক ঔষধে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা এবং ছাল ক্ষত নিরাময়, প্রদাহ কমানো, এবং হজমজনিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

পরিবেশগত সুবিধা:

টগর ফুল শুধুমাত্র দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি পরিবেশের জন্যও উপকারী। এই গাছটি বাতাস পরিশোধন করে এবং বিভিন্ন পোকামাকড় ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে, যা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

আয়ুর্বেদিক গুণ:

প্রাচীনকালে টগর গাছকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এর পাতা ও ছাল বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন। যেমন:

  • পাতা এবং ছাল ক্ষত নিরাময় এবং প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • কিছু এলাকায় এর শিকড় হজমজনিত সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়।

চাষাবাদ ও যত্ন:

১. মাটি প্রস্তুতি:

  • টগর ফুলের জন্য দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। মাটির পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ক্ষমতা থাকা জরুরি, কারণ এই গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
  • মাটিতে জৈব সার মেশানোর মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা উচিত, যা গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ও ফুলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

২. রোপণকাল:

  • বর্ষাকাল বা বসন্তকাল টগর গাছ লাগানোর জন্য আদর্শ সময়। এ সময়ে মাটি আর্দ্র থাকে এবং গাছ দ্রুত শিকড় গজাতে পারে।

৩. রোদ এবং আলো:

  • টগর গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও ফুল উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রয়োজন। গাছটিকে এমন স্থানে রাখতে হবে যেখানে পুরো দিনের অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা রোদ পড়ে।

৪. পানি সেচ:

  • গাছের মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দেওয়া উচিত, তবে জলাবদ্ধতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত পানি গাছের শিকড় পচিয়ে দিতে পারে।
  • গ্রীষ্মকালে নিয়মিত সেচ দিতে হবে, বিশেষত গাছ যখন ফুল ধরতে শুরু করবে।

৫. সার প্রয়োগ:

  • প্রতি ২-৩ মাস অন্তর জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত। এছাড়া, নাইট্রোজেন এবং পটাশিয়ামসমৃদ্ধ রাসায়নিক সার গাছের ভালো বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

৬. কাটা ছাঁটা:

  • গাছের অপ্রয়োজনীয় শাখা-প্রশাখা এবং শুকিয়ে যাওয়া পাতা নিয়মিত ছাঁটতে হবে। এর ফলে গাছ নতুন শাখা গজাবে এবং ফুল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

৭. রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ:

  • টগর গাছে মাঝে মাঝে মাকড়সা, অ্যাফিড, এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে। নিয়মিত গাছের পাতা ও শাখা পরীক্ষা করে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৮. শীতকালে যত্ন:

  • শীতকালে গাছের পানি সেচ কমিয়ে দিতে হবে এবং সম্ভব হলে গাছকে হালকা ছায়ায় রাখতে হবে। ঠাণ্ডার কারণে গাছের বৃদ্ধি ধীর হতে পারে, কিন্তু এটি বসন্তে পুনরায় ফুল দেওয়া শুরু করবে।

 

হাসনাহেনা

280.00৳ 

সিলভিয়া

250.00৳ 

শিউলি

350.00৳ 

লিপস্টিক

380.00৳ 

রেইনলিলি

180.00৳ 

দোপাটি

300.00৳ 

রঙ্গন

250.00৳